Showing posts with label ayub bachchu. Show all posts
Showing posts with label ayub bachchu. Show all posts

Friday, October 18, 2024

Here are 10 essential facts about Ayub Bachchu, the legendary singer, as we honor his first death anniversary

Here are 10 essential facts about Ayub Bachchu, the legendary singer, as we honor his first death anniversary:

Today marks the first death anniversary of legendary singer Ayub Bachchu who was considered a rock musical icon.


Here are 10 things Ayub Bachchu fans should know about the legendary singer, especially as we commemorate his first death anniversary:

Early Life: Ayub Bachchu was born on September 16, 1962, in Chittagong, Bangladesh. He showed an early interest in music and began playing the guitar at a young age.


Formation of LRB: In 1991, he founded the rock band LRB (Love Runs Blind), which became one of the most popular rock bands in Bangladesh. The band played a significant role in shaping the Bangladeshi rock music scene.


Iconic Hits: Some of his most famous songs include "Chand Er Bati," "Ghum Ghum," "Kothay Jabo," and "Shono Ekti Hridoyer Golpo." His lyrics often touched on themes of love, loss, and social issues.


Musical Style: Ayub Bachchu was known for his unique blend of rock, pop, and traditional Bangladeshi music. His powerful guitar riffs and soulful voice made him a standout artist.


Influence on Bengali Music: He is often referred to as the "Guitar God" of Bangladesh and has inspired countless musicians and fans across generations. His contributions have enriched the Bengali music landscape.


Awards and Recognition: Although he did not receive extensive state recognition during his lifetime, he was awarded several accolades, including the "Meril Prothom Alo Awards" and "Channel i Music Awards," celebrating his impact on music.


Television and Film Work: In addition to his music career, Ayub Bachchu also appeared as a judge on various music reality shows, helping to mentor young talent. He composed music for films as well, further showcasing his versatility.


Philanthropy: He was known for his charitable work and often participated in events aimed at raising funds for various social causes, including education and healthcare.


Legacy: Ayub Bachchu's influence extends beyond his music. He is remembered as a cultural icon who helped shape the identity of modern Bangladeshi music. His songs continue to resonate with fans, and his legacy lives on through his recordings.


Tributes and Memorials: Following his passing on October 18, 2018, fans and fellow musicians have paid tribute to him in various ways, including the establishment of a statue in his honor at Prabartak Mor in Chittagong, symbolizing his enduring impact on music and culture.

As fans remember Ayub Bachchu today, it’s important to celebrate his life, music, and the profound impact he had on the hearts of many.

আইয়ুব বাচ্চু : গিটারিস্ট থেকে গিটার জাদুকর, এক কিংবদন্তির গল্প।

তিনি একটি মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন, যেখানে বাবা-মা এবং অন্যান্য সদস্যরা ধর্মটির প্রতি অত্যন্ত উৎসাহী ছিলেন। ফলে, পরিবারের কেউ যদি গান-বাজনা করতে চায়, তা সহজে মেনে নেওয়া হয়নি। তবে, এক নাছোড়বান্দা ছেলের আবদারেই জন্মদিনে তাঁর বাবার দেওয়া গিটারটি হয়ে যায় নতুন জীবনের শুরু। এই মুহূর্ত থেকেই একটি অবিস্মরণীয় ইতিহাসের সূচনা হয়, এবং তিনি হয়ে ওঠেন দেশের অন্যতম জনপ্রিয় ও সফল সঙ্গীত তারকা।







গিফট পাওয়া গিটার দিয়েই তার গিটারিস্ট জীবনের শুরু। তিনি শিখেছিলেন একটি বার্মিজ ব্যক্তির কাছ থেকে, যিনি জেকব ডায়াজ নামে পরিচিত। কিন্তু তাঁর আসল আকর্ষণ ছিল ইলেক্ট্রিক গিটার। মাঝে মাঝে এক বন্ধুর কাছ থেকে ধার করা সেই গিটার দিয়ে তিনি বাজাতেন, এবং তার বন্ধুরা মুগ্ধ হয়ে শেষে সেই গিটারটি তাঁকে উপহার দেয়।

ইলেক্ট্রিক গিটারে তিনি অসাধারণ দক্ষতা অর্জন করেন, যা চট্টগ্রামের সঙ্গীতপ্রেমীদেরকে হতবাক করে দেয়। এরপর তার গিটারের যাদু ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে, এবং সবাই তাঁকে ভালবেসে ‘গিটার গড’ বা গিটারের যাদুকর বলে অভিষিক্ত করে।

এটা শুধু গিটার নয়; তিনি কণ্ঠে ও বাজিমাত করেছেন। তার সুরেলা কণ্ঠ দেশের প্রতিটি কোণে পৌঁছে যায়। ব্যান্ড মিউজিকের শিল্পী হিসেবে তিনি বাংলার নানা প্রান্তে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। তিনিই প্রথম ব্যান্ড তারকা, যার মাধ্যমে ব্যান্ডের গান এ দেশের জনগণের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। আঞ্চলিক, লোক ও আধুনিক গানে ডুবে থাকা শ্রোতারা নতুনভাবে তার সঙ্গীতের প্রেমে পরিণত হয়।





তিনি আইয়ুব বাচ্চু, যিনি ভক্তদের কাছে ‘এবি’ এবং সহশিল্পীদের কাছে ‘বস’। বাংলা গানের ইতিহাসে তিনি একটি চিরস্মরণীয় কিংবদন্তী। আজ ১৮ অক্টোবর, এই দিনটি তাঁর চলে যাওয়ার দিন। ২০১৮ সালের এই দিনে তিনি কোটি ভক্তের চোখে জল এনে, সঙ্গীতে অপূরণীয় একটি শূণ্যতা সৃষ্টি করে পরপারে চলে যান। আজকের দিনটি তাঁর প্রতি অগাধ শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার দিন।

আইয়ুব বাচ্চুর সৃষ্টিময় জীবন সত্যিই একটি অনন্য গাথা, যা বাংলা সঙ্গীতের ইতিহাসে একশনীয় স্থান অধিকার করে আছে।

জন্ম ও বেড়ে ওঠা
১৯৬২ সালের ১৬ আগস্ট আইয়ুব বাচ্চু চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া উপজেলার খরনা ইউনিয়নে জন্মগ্রহণ করেন। মুক্তিযুদ্ধের পর তাঁর পরিবার চট্টগ্রাম শহরে স্থানান্তরিত হয় এবং জুবীলি রোডে থাকতেন। তিনি দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে সবার বড় ছিলেন।

প্রথম গিটার
১১ বছর বয়সে, ১৯৭৩ সালের ১৬ আগস্ট, আইয়ুব বাচ্চুকে তার বাবা ইশহাক চৌধুরী প্রথম গিটার উপহার দেন। এর মাধ্যমে তার সঙ্গীত জীবনের সূচনা হয়, যদিও তার পরিবার গান-বাজনা নিয়ে সেই সময় তেমন উৎসাহী ছিল না। এই গিটার দিয়ে তিনি পশ্চিমা গিটারিস্টদের বাজানোর চেষ্টা করতে শুরু করেন।

ইলেক্ট্রিক গিটারে হাতেখড়ি
আইয়ুব বাচ্চুর মূল আগ্রহ ছিল ইলেক্ট্রিক গিটার বাজানোর দিকে। তিনি বার্মিজ গিটারিস্ট জেকব ডায়াজের কাছে গিটার বাজানো শিখেছিলেন। প্রথমে ইলেক্ট্রিক গিটার হাতে না পেয়ে, তিনি এক বন্ধুর কাছ থেকে ধার নিয়ে বাজানো শুরু করেন। বন্ধুর উৎসাহে পরে তিনি সেই গিটারটি পেয়ে যান।

প্রথম ব্যান্ড
এসএসসি পাশ করার পর কলেজে পড়ার সময়, আইয়ুব বাচ্চু তার প্রথম ব্যান্ড ‘গোল্ডেন বয়েজ’ গঠন করেন। বন্ধুদের নিয়ে এই ব্যান্ডে গান পরিবেশন করতে শুরু করেন যা পরে ‘আগলি বয়েজ’ নামে পরিচিত হয়। এই ব্যান্ডে কুমার বিশ্বজিৎ ছিলেন ভোকাল।

ফিলিংস ও জেমসের সঙ্গে সঙ্গ
১৯৭৭ সালে, আইয়ুব বাচ্চু ‘ফিলিংস’ ব্যান্ডে যোগ দিয়ে দেশের কিংবদন্তি গায়ক জেমসের সঙ্গে কাজ শুরু করেন। একদিন চায়ের দোকানে গিটার বাজানোর সময় জেমস তার প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে তাকে ব্যান্ডে যোগ দেয়ার প্রস্তাব দেন। তিনি ১৯৮০ সাল পর্যন্ত এই ব্যান্ডে গিটারিস্ট হিসেবে কাজ করেন।

আইয়ুব বাচ্চুর প্রতিভা এবং সঙ্গীত সৃষ্টির ক্ষমতা তাকে বাংলা সঙ্গীতের অন্যতম কিংবদন্তি করে তোলে, এবং আজও তিনি লাখ লাখ ভক্তের হৃদয়ে বেঁচে আছেন।




আইয়ুব বাচ্চুর সঙ্গীত যাত্রার অন্যতম উল্লেখযোগ্য অধ্যায় ছিল সোলস ব্যান্ডের সঙ্গে তার পথচলা এবং পরবর্তী সময়ে এলআরবি’র সৃষ্টি।
সোলস ব্যান্ডের সঙ্গে পথচলা

আইয়ুব বাচ্চু ফিলিংস ব্যান্ডে পারফর্ম করার সময় চট্টগ্রামের একটি ক্লাবে দর্শকদের মাঝে ছিলেন সোলস ব্যান্ডের নকীব খান। তার গিটার বাজানোতে মুগ্ধ হয়ে নকীব খান সোলসের মূল ভোকাল তপন চৌধুরীকে বলেন আইয়ুব বাচ্চুকে তাদের দলে গ্রহণের জন্য। পরদিন নকীব খান ও তপন চৌধুরী এসে আইয়ুব বাচ্চুকে সোলসে যোগদানের প্রস্তাব দেন, যা বাচ্চু গ্রহণ করেন। এই ব্যান্ডের সঙ্গে তিনি ১৯৯০ সাল পর্যন্ত যুক্ত ছিলেন এবং এই সময়ে সোলসের অসংখ্য সাফল্য অর্জন করেন।
নিজের ব্যান্ড গঠন

১৯৯০ সালের শেষে সোলস ত্যাগ করার পর আইয়ুব বাচ্চু ঢাকায় এসে নিজের ব্যান্ড গঠন করেন। তিনি নাম দেন ‘ইয়েলো রিভার ব্যান্ড’। ১৯৯১ সালের ৫ এপ্রিল এই ব্যান্ডটি আত্মপ্রকাশ করে। ব্যান্ডটির সদস্যবৃন্দ ছিলেন এস আই টুটুল, সাইদুল হাসান স্বপন এবং হাবিব আনোয়ার। কিছুদিন পরে, ভারতে একটি কনসার্টের সময় ভুলক্রমে তাদের ব্যান্ডের নাম ‘লিটল রিভার ব্যান্ড’ বলা হলে সেই নাম থেকে এলআরবি’র (লাভ রানস ব্লাইন্ড) সৃষ্টি ঘটে।
অ্যালবাম প্রকাশ

এলআরবি একটি রক ব্যান্ড হিসেবে গড়ে ওঠে, যেখানে আইয়ুব বাচ্চু তার মনের মতো গান করতে পারতেন। ১৯৯২ সালে তারা প্রথম অ্যালবাম প্রকাশ করে, যা ছিল একটি ডাবল অ্যালবাম—‘এলআরবি ১’ ও ‘এলআরবি ২’। এই অ্যালবামটি দেশের প্রথম ডাবল অ্যালবাম হিসেবে পরিচিত লাভ করে এবং এটি আইয়ুব বাচ্চুর সঙ্গীতজীবনের একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক হয়ে ওঠে।

এলআরবি’র মাধ্যমে আইয়ুব বাচ্চু বাংলা রক মিউজিকে নতুন মাত্রা যোগ করেন এবং তাদের গানগুলো তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে। বিনোদন জগতের সকল দিক দিয়ে তার অবদান আজও স্মরণীয় হয়ে আছে।
জনপ্রিয়তার শীর্ষে আরোহণ

১৯৯৩ সালে এলআরবি তাদের তৃতীয় স্টুডিও অ্যালবাম ‘সুখ’ প্রকাশ করে, যা বাংলা ব্যান্ড মিউজিকের ইতিহাসে অন্যতম সেরা ও সফল অ্যালবাম হিসেবে উঠে আসে। এই অ্যালবামে ছিল ‘চলো বদলে যাই’ গানটি, যা বাংলা ব্যান্ড মিউজিকের থিম সঙ্গীতে পরিণত হয় এবং দেশের বাইরে থেকেও ব্যাপক সাড়া পায়। ‘সুখ’ অ্যালবাম আইয়ুব বাচ্চু ও এলআরবি’র জনপ্রিয়তার তুঙ্গে পৌঁছে দেয়।
একক ক্যারিয়ার

আইয়ুব বাচ্চু বরাবরই নিজের প্রতিভাকে গুরুত্ব দিয়েছেন এবং অন্যান্য ব্যান্ডের পাশাপাশি একটি শক্তিশালী একক ক্যারিয়ারও তৈরি করেছেন। তার প্রথম একক অ্যালবাম ‘রক্তগোলাপ’ ১৯৮৬ সালে প্রকাশিত হয়, ফলে তিনি সঙ্গীত দুনিয়ায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। এর পর ১৯৮৮ সালে ‘ময়না’ অ্যালবামটি প্রকাশ করে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন, যেখানে আধুনিক এবং পপ গান ছিল। এই অ্যালবামটি ৬০ হাজার কপিরও বেশি বিক্রি হয়েছিল।

পরে ১৯৯৫ সালে তার তৃতীয় একক অ্যালবাম ‘কষ্ট’ প্রকাশিত হয়, যা আইয়ুব বাচ্চুর সেরা কাজগুলোর মধ্যে একটি হিসেবে বিবেচিত। এই অ্যালবাম থেকে ‘কষ্ট পেতে ভালোবাসি’, ‘কষ্ট কাকে বলে’ এবং ‘জেগে আছি’ গানগুলো অসাধারণ জনপ্রিয়তা লাভ করে, এবং অ্যালবামটির বিক্রির পরিমাণ ৩ লাখেরও বেশি থাকে।

১৯৯৯ সালে আইয়ুব বাচ্চু একক শিল্পী হিসেবে ডাবল অ্যালবাম ‘সময়’ ও ‘একা’ প্রকাশ করেন, তবে এই অ্যালবাম দুটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পারেনি। যদিও পরবর্তী সময়ে তিনি ‘প্রেম তুমি কি!’, ‘জীবন’, ‘বিধির বাঁধন’, ‘বলিনি কখনো’ এবং ‘জীবনের গল্প’ সহ একাধিক সফল অ্যালবাম প্রকাশ করেন।
ব্যান্ড অ্যালবাম

আইয়ুব বাচ্চু এলআরবি ব্যান্ডের মাধ্যমে এক ডজনের বেশি অ্যালবাম উপহার দেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—‘এলআরবি ১’, ‘এলআরবি ২’, ‘সুখ’, ‘তবুও’, ‘ঘুমন্ত শহরে’, ‘স্বপ্ন’, ‘আমাদের’, ‘বিস্ময়’, ‘মন চাইলে মন পাবে’, ‘অচেনা জীবন’, ‘মনে আছে নাকি আনি’, ‘স্পর্শ’ ও ‘যুদ্ধ’। এছাড়া, সোলস ব্যান্ডের কয়েকটি অ্যালবামেও তার অবদান রয়েছে।

আইয়ুব বাচ্চুর সঙ্গীত জগতে অবদান এবং সাফল্য আজও সঙ্গীতপ্রেমীদের মনে জায়গা করে আছে। তাঁর অ্যালবামগুলো এবং গানগুলো বর্তমান প্রজন্মের জন্যও অনুসরণীয় হয়ে আছে।




আইয়ুব বাচ্চু তার সঙ্গীত প্রতিভার মাধ্যমে বাংলা সঙ্গীত জগতে বিশেষ এক স্থান করে নিয়েছেন। প্লেব্যাকে তার অবদান অনেক গুরুত্বপূর্ণ, এবং তিনি দেশের সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিতে কিছু কালজয়ী গান উপহার দিয়েছেন।
প্লেব্যাক ও চলচ্চিত্রে গান

আইয়ুব বাচ্চু বিভিন্ন সিনেমায় উল্লেখযোগ্য গান গেয়েছেন। তার কণ্ঠে গাওয়া কিছু জনপ্রিয় গান হলো:লুটতরাজ
সাগরিকা
লাল বাদশা
আম্মাজান
গুন্ডা নাম্বার ওয়ান
ব্যাচেলর
রঙ নাম্বার
চাঁদের মতো বউ
চোরাবালি
টেলিভিশন
এক কাপ চা
অমর গান

আইয়ুব বাচ্চুর সঙ্গীত জীবনে তিনি অসংখ্য গান সৃষ্টি করেছেন, যা শ্রোতাদের হৃদয়ে স্থায়ীভাবে জায়গা করে নিয়েছে। তার কিছু উল্লেখযোগ্য গান হলো:চলো বদলে যাই
এখন অনেক রাত
সেই তারা ভরা রাতে
মাধবী
ঘুম ভাঙা শহরে
বেলা শেষে
তিন পুরুষ
উড়াল দেব আকাশে
এক আকাশ তারা
নদীর বুকে চাঁদ
হাসতে দেখ গাইতে দেখ
আমি বারো মাস
বাংলাদেশ
আমি কষ্ট পেতে ভালোবাসি
ফেরারি মন
সুখেরই পৃথিবী
তোমার চোখে দেখলে
মেয়ে তুমি কি দুঃখ চেনো
ও আমার সখি
আমি তো প্রেমে পড়িনি
এক চালা টিনের ঘর
বেলা শেষে ফিরে এসে
কবিতা
আম্মাজান
আকাশ ছুঁয়েছে মাটিকে
এই জগত সংসারে
অনন্ত প্রেম তুমি দাও আমাকে
দাম্পত্য জীবন

আইয়ুব বাচ্চু ছিলেন একজন নিবেদিত প্রেমিক। ১৯৮৬ সালে তার সঙ্গীতের ক্যারিয়ার শুরু হওয়ার সময় তিনি ফেরদৌস চন্দনার প্রেমে পড়েন। চন্দনা এবং আইয়ুব বাচ্চুর মধ্যে সম্পর্কটি গরিমাময় ছিল এবং তারা ১৯৯১ সালের ৩১ জানুয়ারি বিয়ের পিঁড়িতে বসেন। তাদের সংসারটি সুখের ছিল এবং তাদের দুই সন্তান—মেয়ে ফাইরুজ সাফরা আইয়ুব এবং ছেলে আহনাফ তাজওয়ার আইয়ুব।

আইয়ুব বাচ্চুর সঙ্গীত ও প্রেমের গল্প, তাঁর সৃষ্টিশীলতা এবং সংসার জীবন তাকে একটি বিশেষ জায়গায় দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। তার গান ও জীবনের গল্প পরবর্তী প্রজন্মের জন্য প্রেরণা মূর্তি হয়ে থাকবে।




আইয়ুব বাচ্চুর অবদান ও স্বীকৃতি সত্যিই অসাধারণ। তিনি বাংলা সঙ্গীতজগতে দীর্ঘ সময় ধরে থাকা একটি কিংবদন্তি, যার গান প্রতি প্রজন্মের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছে। তার সঙ্গীত প্রকৃতপক্ষে শৈল্পিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের একটি অপরিহার্য অংশ হয়ে উঠেছে।
প্রাপ্তি

আইয়ুব বাচ্চুর প্রাপ্তিগুলো শুধুমাত্র পুরস্কার বা স্বীকৃতির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। তিনি সঙ্গীতের মাধ্যমে কোটি কোটি মানুষের মনে বাস করেছেন। তার গিটারের সুর আর কণ্ঠস্বর বাঙালি সংস্কৃতির একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে প্রসারিত হয়েছে।শিল্পী হিসেবে গ্রহণযোগ্যতা: তিনি একাধিক প্রজন্মের কাছে জনপ্রিয় হয়েছেন। তার গানগুলো কেবল সঙ্গীত নয়, বরং জীবনের নানা অনুভূতি, প্রেম, দুঃখ ও আনন্দের সাথে সম্পর্কিত।
ভাস্কর্য স্থাপন: আইয়ুব বাচ্চুর প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর উদ্দেশ্যে চট্টগ্রামের প্রবর্তক মোড়ে একটি গিটারের আদল তৈরি ভাস্কর্য ‘রূপালি গিটার’ স্থাপন করা হয়েছে, যা তার সঙ্গীত জীবনকে চিহ্নিত করে।
মৃত্যু

আইয়ুব বাচ্চুর আকস্মিক মৃত্যু সঙ্গীতপ্রেমীদের জন্য একটি বিশাল শূন্যতা সৃষ্টি করেছে। তার মৃত্যুর খবরটি প্রিয়জন এবং ভক্তদের মধ্যে গভীর শোকের সৃষ্টি করেছিল। ২০১৮ সালের ১৮ অক্টোবর তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মাত্র কিছু সময়ের মধ্যে আমাদের ছেড়ে চলে যান। তার মৃত্যু কেবল একটি প্রতিভার বিদায় নয়, বরং বাংলা সঙ্গীতের এক অধ্যায়ের সমাপ্তি।

ইতিহাসে তার নাম অমর হয়ে থাকবে, কারণ তার গান ও সুরগুলোর প্রভাব দীর্ঘকাল ধরে থাকবে। শিল্পী হিসেবে আইয়ুব বাচ্চু গিটার ও কণ্ঠের মাধ্যমে যে যাদু সৃষ্টি করেছেন, তা নতুন প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে। তাঁর গানের মতো করে অনুভূতগুলো আমাদের মনে বেঁচে থাকবে অনন্তকাল।